প্রধানমন্ত্রীর প্রেসসচিব ইহসানুল করিম বাসসকে জানান, বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের একটি ভিভিআইপি চার্টার্ড ফ্লাইট স্থানীয় সময় গতকাল বিকেল ৫টা ৪০ মিনিটে প্রধানমন্ত্রী ও তাঁর সফরসঙ্গীদের নিয়ে নিউইয়র্কের জন এফ কেনেডি আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করে।
বিমানবন্দরে প্রধানমন্ত্রীকে স্বাগত জানান যুক্তরাষ্ট্রে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত এম শহীদুল ইসলাম। সঙ্গে ছিলেন জাতিসংঘে বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি রাবাব ফাতিমা।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন, পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মো. শাহরিয়ার আলম, পররাষ্ট্রসচিব মাসুদ বিন মোমেন ও পিএমও সচিব তোফাজ্জল হোসেন মিয়া প্রধানমন্ত্রীর সফরসঙ্গী হিসেবে রয়েছেন।
বিমানবন্দর থেকে প্রধানমন্ত্রীকে সুসজ্জিত মোটরশোভাযাত্রাসহ লোটে নিউইয়র্ক প্যালেসে নিয়ে যাওয়া হয়। নিউইয়র্কে থাকাকালে শেখ হাসিনা সেখানেই অবস্থান করবেন।
প্রধানমন্ত্রী গত শুক্রবার নিউইয়র্কের উদ্দেশে ঢাকা ত্যাগ করেন। নিউইয়র্কে যাওয়ার পথে তিনি হেলসিঙ্কিতে দুই দিনের যাত্রাবিরতি করেন। ২০২০ সালের ফেব্রুয়ারিতে ইতালি সফরের দেড় বছর পর এটি প্রধানমন্ত্রীর প্রথম বিদেশ সফর।
বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের একটি ভিভিআইপি চার্টার্ড ফ্লাইট স্থানীয় সময় গতকাল বিকেল ৪টা ১৬ মিনিটে প্রধানমন্ত্রী ও তাঁর সফরসঙ্গীদের নিয়ে হেলসিঙ্কি থেকে নিউইয়র্কের উদ্দেশে যাত্রা করে।
ফিনল্যান্ডে বাংলাদেশের অনাবাসী রাষ্ট্রদূত মো. নাজমুল ইসলাম প্রধানমন্ত্রীকে বিমানবন্দরে বিদায় জানান।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২৪ সেপ্টেম্বর জাতিসংঘ সদর দপ্তরে সাধারণ পরিষদের ৭৬তম অধিবেশনে ভাষণ দেবেন।
১৯৭৪ সালে জাতিসংঘে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঐতিহাসিক ভাষণ অনুসরণ করে প্রধানমন্ত্রী বিগত বছরগুলোর মতো এবারও বাংলায় তাঁর ভাষণ দেবেন।
২০ সেপ্টেম্বর যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন ও জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেসের আহ্বানে জলবায়ু পরিবর্তন নিয়ে রাষ্ট্র ও সরকারপ্রধানদের একটি ছোট দলের সঙ্গে রুদ্ধদ্বার বৈঠকে যোগ দেবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
জাতিসংঘের অধিবেশন ও নিউইয়র্কে অন্যান্য অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণের পর প্রধানমন্ত্রীর ২৫ থেকে ৩০ সেপ্টেম্বর ওয়াশিংটন ডিসি সফরের কথা রয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ৩০ সেপ্টেম্বর ওয়াশিংটন থেকে ঢাকার উদ্দেশে রওনা হবেন। হেলসিঙ্কিতে যাত্রাবিরতির পর আগামী ১ অক্টোবর তিনি দেশে ফিরবেন।
মন্তব্য করুন