যেভাবে পদ্মা সেতু হলো

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাত ধরেই বাংলাদেশের ১৮কোটি মানুষ একটা স্বপ্নের বাস্তবায়ন দেখলো। গতকাল শনিবার স্বপ্নের পদ্মা সেতু উদ্বোধনের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশে যোগাযোগের নতুন অধ্যায় শুরু হলো। ঢাকাসহ পুরো দেশের সঙ্গে যুক্ত হলো দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের ১৯ জেলা।

এদিন বেলা ১১টা ৪৮ মিনিটে শুরুটা করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তাঁর বহরে থাকা ১৮টি যানবাহনের জন্য ১৬ হাজার ৪০০ টাকা টোল তিনি নিজ হাতেই দেন। প্রধানমন্ত্রী নিজের গাড়িবহর নিয়ে পদ্মা সেতু পাড়ি দিয়ে খোলেন যোগাযোগের দ্বার। আজ রবিবার ২৬ জুন সকাল থেকেই সাধারন গাড়ী চলাচল করতে পারবে।

এর আগে গত ৯ জুলাই ২০১২ ইং তারিখে বাংলাদেশ সরকারের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নিজেস্ব অর্থায়নে পদ্মা সেতু নির্মাণের সিন্ধান্ত গ্রহন করেন। তার প্রায় ২ বছর পর ২০১৪ সালের ২৬ নভেম্বর পদ্মা সেতুর মূল কাজ শুরু হয়। ৩০ সেপ্টেম্বর ২০১৭ তে বসানো হয় প্রথম স্প্যান। তারই ধারাবাহিকতায় ১০ ডিসেম্বর ২০২০ সালে বসানো হয় শেষ স্প্যান। পদ্মা সেতুর স্প্যান বসানোর পরপরই কাজ শুরু হয়ে যায় সেতুতে পিচ ডালাইয়ের কাজ । গত ২৯ এপ্রিল ২০২২ সালে পিচ ডালাইয়ের কাজ শেষ করা হয়। গতকাল ২৫ জুন ২০২২ সালে পদ্মা সেতুর উদ্বোধন করা হয় এবাং আজ ২৬ জুন যানবাহন চলাচলের জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়া হয়।

প্রধানমন্ত্রীর গাড়ীর টোল আদায়কারীর নাম
প্রধানমন্ত্রীর কাছ থেকে টোল আদায়কারী ছিলেন তানিয়া আফরিন। তাঁর পরিবার পদ্মা সেতু নির্মাণে জমি দিয়ে সহায়তা করেছে। ক্ষতিগ্রস্ত হিসেবে চাকরি পেয়েছেন তিনি। এভাবে কেউ জমি দিয়ে, কারও মেধায়, কেউ শ্রমিক হিসেবে শ্রম দিয়ে প্রায় সাড়ে সাত বছরের চেষ্টায় পদ্মা সেতু দুই পারের সেতুবন্ধ তৈরি করেছে।

কি আছে পদ্মা সেতুতে
১. পদ্মা সেতুর অফিশিয়াল নাম= “পদ্মা বহুমুখী সেতু।” (The Padma Multipurpose Bridge)

৫০.গ্যাস বিদ্যুত অপটিক্যাল ফাইবার নেওয়ার সুবিধা থাকছে পদ্মা সেতুতে।