বৈদ্যুতিক প্রিপেইড মিটারে ব্যালান্স শেষ হয়ে যাওয়ার সংকেত। মিটারের হিসাব নম্বরে রিচার্জ করতে গিয়ে নির্দিষ্ট অঙ্কের টাকার বিপরীতে পাওয়া গেল ২০০ সংখ্যার রিচার্জ কোড। এই কোড কীভাবে প্রবেশ করাতে হবে, এ বিষয়ে নেই কোনো নির্দেশনা। এতে ভোগান্তির শেষ নেই গ্রাহকদের।
প্রিপেইড মিটারের হিসাব নম্বরে রিচার্জ কোড নিয়ে এমন বিপাকে পড়েছেন গাজীপুরের শ্রীপুরের হাজারো গ্রাহক। প্রত্যেক গ্রাহক রিচার্জ কোড হিসেবে আগের ২০ সংখ্যার পরিবর্তে বর্তমানে পাচ্ছেন ২০০টি গাণিতিক সংখ্যা। আগের ২০ সংখ্যা রিচার্জ কোড প্রবেশে অভ্যস্ত গ্রাহক জানেন না ভিন্ন আঙ্গিকে পাওয়া ২০০টি গাণিতিক সংখ্যা প্রবেশের পদ্ধতি। মিটারে ইনবিল্ড কি–বোর্ডে বোতাম চেপে এসব রিচার্জ কোড প্রবেশ করাতে গিয়ে বারবার ভুল হচ্ছে তাঁদের। এ সমস্যার সমাধানও তাঁরা জানেন না। গত শনিবার থেকে এমন ভোগান্তিতে পড়েছেন তাঁরা।
সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দেওয়া তথ্যমতে, বৈদ্যুতিক বিল পরিশোধসহ বিদ্যুৎ ব্যবস্থাপনা আধুনিকায়ন করার জন্য পল্লী বিদ্যুৎ কর্তৃপক্ষ তাদের পোস্টপেইড গ্রাহকদের কিছু মিটার প্রিপেইড মিটারে প্রতিস্থাপন করে। সেই সঙ্গে কিছু নতুন বৈদ্যুতিক সংযোগেও প্রিপেইড মিটার বসানো হয়েছে। ময়মনসিংহ পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-২–এর মাওনা আঞ্চলিক কার্যালয়ের অধীনে প্রিপেইড মিটারের সংখ্যা ৩৮ হাজার। গত ২০০৯ সাল থেকে ক্রমান্বয়ে এসব প্রিপেইড মিটার প্রতিস্থাপন ও নতুন করে সংযোগ দেওয়া হয়।
শ্রীপুরের মাওনা চৌরাস্তা, প্রশিকা মোড়, কেওয়া, কেওয়া নতুন বাজার, চন্নাপাড়া, গিলাবেড়াইদ, দারোগারচালা, মাওনা চৌরাস্তাসহ বিভিন্ন এলাকার বিদ্যুৎ গ্রাহকেরা তাঁদের ভোগান্তির কথা জানান।
মাওনা চৌরাস্তার বৈদ্যুতিক প্রিপেইড সংযোগের গ্রাহক আমান উল্লাহ ফরাজী প্রথম আলোকে বলেন, পর্যাপ্ত টাকা না থাকায় গত সোমবার রাতে হঠাৎ তাঁর প্রতিষ্ঠানের বিদ্যুৎ–সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। পরে তিনি ৫ হাজার টাকা পরিশোধ করে মোবাইল ব্যাংকিং সার্ভিস থেকে রিচার্জ কোড হিসেবে ২০০ সংখ্যার কোড পান।
একই এলাকার প্রিপেইড মিটার গ্রাহক ইসমাইল হোসেন বলেন, এত বড় সংখ্যা কীভাবে প্রবেশ করাতে হয়, সেটা তাঁরা জানেন না। সম্প্রতি তিনি একটি রিচার্জ কোড প্রবেশ করাতে গিয়ে বিপাকে পড়েন। পরে ময়মনসিংহ পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-২–এর মাওনা জোনাল অফিসে গিয়ে পদ্ধতি জেনে আসেন।
এ বিষয়ে ময়মনসিংহ পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি–২ মাওনা আঞ্চলিক কার্যালয়ের উপমহাব্যবস্থাপক আহমদ শাহ আল জাবের প্রথম আলোকে বলেন, নতুন করে বিদ্যুৎ বিল বেড়েছে। বর্ধিত বিদ্যুৎ বিল সফটওয়্যারে এন্ট্রি করার পর এ ধরনের সমস্যা হচ্ছে।
তথ্য সূত্র: প্রথম আলো।
মন্তব্য করুন