রাজধানীর ঢাকায় ভয়ংকর মাদক লাইসার্জিক অ্যাসিড ডাইথ্যালামাইড বা এলএসডির সন্ধান পেয়েছে পুলিশ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী হাফিজুর রহমানের মৃত্যু রহস্য উদঘাটন করতে গিয়ে।
বুধবার এলএসিডির দুশশত বল্টসহ ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ এই চক্রের তিনজনকে গ্রেফতার করেছে।এর পর এলএসিডির বেচাকেনার একাধিক চক্রের বিভিন্ন তথ্য গোয়েন্দাদের কাছে বেরিয়ে আসছে। এই ক্ষেত্রে পুলিশ জানায় এলএসডি বেচাকেনার ১৩-১৪ টি গ্রুপ সক্রিয় আছে।
এদিকে রোববার এলএসডি চক্রের কারবারি ও সেবনের সাথে জড়িত পৃথক একটি চক্র ধরা পরেছে খিলগাও থানা পুলিশের কাছৈ। তাদের মধ্যে গ্রেফতার কৃত এলএসডি হোতাদের মধ্যে ৫ জন ধরা পরে
গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন-সাইফুল ইসলাম সাইফ (২০), নাজমুস সাকিব (২০), এসএম মনওয়ার আকিব (২০), বিএম সিরাজুস সালেকীন (২৪) ও নাজমুল ইসলাম (২৪)। তাদের কাছ থেকে দুই হাজার মাইক্রোগ্রাম এলএসডি, আইস ও গাজা জব্দ করা হয়েছে। তারা সবাই বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী। এর আগে বুধবার গ্রেপ্তার হওয়া তিনজনকে রোববার ডিবির রমনা বিভাগ পাঁচদিনের রিমান্ডে নিয়েছে।
পাঁচজনকে গ্রেপ্তারের বিষয়ে রোববার ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) মতিঝিল বিভাগের উপকমিশনার আ. আহাদ পল্টন থানায় সংবাদ সম্মেলন করেন। তিনি বলেন, গ্রেপ্তারকৃতরা জিজ্ঞাসাবাদে জানিয়েছে- দেশে এলএসডি বেচাকেনায় ১৩-১৪টি গ্রুপ সক্রিয় আছে। শনিবার রাত থেকে রামপুরা, শাহজাহানপুর, ভাটারা ও বাড্ডা এলাকায় অভিযান চালিয়ে একটি চক্রের পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
উপকমিশনার আ. আহাদ বলেন, এক বছর ধরে অনলাইনে এলএসডি বেচাকেনা করছে তারা। কুরিয়ার ও লাগেজের মাধ্যমে বিদেশ থেকে এলএসডি দেশে নিয়ে আসা হয়। অনলাইনে গ্রাহক সংগ্রহ করে এলএসডি ব্যবসায়ীরা। সেবনকারীদের বিষয়েও খোঁজখবর নেওয়া হচ্ছে। তাদেরও আইনের আওতায় আনা হবে।
এই তরুণরা কীভাবে জড়িয়ে পড়ল- জানতে চাইলে তিনি বলেন, অনলাইন বিজ্ঞাপনের মাধ্যমে আকৃষ্ট হয়ে তারা এলএসডি সেবন শুরু করে। তারা মূলত বিদেশ থেকে এলএসডি সংগ্রহ করে থাকে।
তথ্য সূত্রঃ সমকাল
মন্তব্য করুন