পরীমনিসহ মডেল মৌ, পিয়াসা ও রাজের বিরুদ্ধে করা মামলার তদন্তভার ও মামলার ডকেট বুঝে পেয়েছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)।
এদিকে, পরী মনিসহ আসামিদের জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন সিআইডির তদন্ত সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা।
এমনকি পরী মনির সঙ্গে ডিএমপি গোয়েন্দা (ডিবি) শাখার অতিরিক্ত উপ-কমিশনার (এডিসি) মো. গোলাম সাকলায়েনের অনৈতিক সম্পর্কের বিষয়টিও খতিয়ে দেখছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)।
শনিবার (৭ আগস্ট) দুপুরে মালিবাগের প্রধান কার্যালয়ে আলাপকালে সাংবাদিকদের সঙ্গে এ কথা বলেন সিআইডির অতিরিক্ত ডিআইজি শেখ ওমর ফারুক।
তিনি বলেন, শুক্রবারই ( ৬ আগস্ট) আমরা মামলার ডকেট বুঝে পেয়েছি। আসামিও আমরা বুঝে পেয়েছি। নায়িকা পরী মনি, মডেল মৌ, পিয়াসা নজরুল ইসলাম রাজ বর্তমানে সিআইডির হেফাজতে রয়েছে। তবে হেলেনা জাহাঙ্গীর ও মিশু হাসান বর্তমানে আমাদের হেফাজতে নেই তারা অন্য মামলার তদন্তে ডিএমপির কাছে রয়েছে।
সিআইডির অতিরিক্ত ডিআইজি আরও বলেন, সবেমাত্র আমরা তদন্ত শুরু করেছি। তাই এই মুহূর্তে আমাদের সব বলা মুশকিল। কারণ সিআইডিতে যেকোনো তদন্তই পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে করা হয়। আমাদের ফরেনসিক ল্যাব, কেমিক্যাল ল্যাব, ডিএনএ ল্যাব ও আইটি ফরেনসিক ল্যাব রয়েছে।
আমরা মামলার তদন্ত সুষ্ঠুভাবে করতে চাই। এর জন্য তদন্ত কার্যক্রমে আমাদের সময় লাগবে। ইতিমধ্যে সিআইডির হেফাজতে থাকা আসামিদেরকে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করা হয়েছে। পরী মনির বিরুদ্ধে যে বিষয়গুলো উঠে এসেছে, মাদক কারবার, পার্টি ব্ল্যাকমেইলিং- এই বিষয়গুলো কিভাবে আপনারা প্রমাণ করবেন?
প্রশ্নের জবাবে শেখ ওমর ফারুক বলেন, এই মুহুর্তে আমরা তদন্ত শুরু করেছি। তদন্তের অগ্রগতি সম্পর্কে আমরা সময় সময় আপনাদের জানাব।
পরী মনির এমন অপর্কমে প্রভাবশালীরা অনেকেই জড়িত রয়েছে তাদের বিষয়ে কি পদক্ষেপ নেবেন- এমন প্রশ্নের জবাবে সিআইডির অতিরিক্ত ডিআইজি বলেন, যদি প্রভাবশালী কেউ জড়িত থাকে অবশ্যই তাদের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেওয়া হবে। কারণ কেউ আইনের উর্ধ্বে নয়।
পরী মনির সঙ্গে ডিবি পুলিশের এডিসি সাকলায়েনের অনৈতিক সম্পর্কের বিষয়টি নিয়ে সিআইডির এ কর্মকর্তা বলেন, পরী মনি এখন আসামি। তবে এর আগে অন্য একটা মামলায় তিনি বাদি ছিলেন।
ঘটনাক্রমে একজন মামলার বাদির সঙ্গে তদন্ত কর্মকর্তার পরিণয় ঘটেছে, এ বিষয়গুলো কি আপনাদের তদন্তে উঠে আসবে কিনা জানতে চাইলে ওমর ফারুক বলেন, অবশ্যই উঠে আসবে।
তো আমরা সুষ্ঠুভাবে তদন্ত করব। সে কারণে মামলার সংক্রান্ত এবং আসামি সংক্রান্ত বিষয়ে বিভিন্ন মাধ্যম ও গণমাধ্যমে যা প্রকাশ পাবে সে বিষয়গুলো তদন্তে আসামি ও সংশ্লিষ্টদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে।
তিনি বলেন, সেটা যদি মামলার তদন্ত কর্মকর্তাও হয় তাহলেও আমলে নেওয়া হবে। কেউই আইনের উর্ধ্বে নয়, সে যেই হোক না কেন। আমরা চাই নিরপেক্ষভাবে তদন্ত করে সত্য উদ্ঘাটন করতে।
মন্তব্য করুন