নির্বাচনকালীন নিরপেক্ষ সরকারের দাবি মেনে নিলে প্রধানমন্ত্রীর চা খেতে সমস্যা নেই বলে জানিয়েছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে আসলে চা খাওয়াব।’ তার আগে বলে দেন নিরেপক্ষ সরকার সিস্টেম এনে দিচ্ছি। তাহলে চা খাওয়াব অসুবিধা কি? সমস্যার সমাধান হচ্ছে নির্বাচনকালীন নিরপেক্ষ সরকার।
আজ রবিবার (২৪ জুলাই) জাতীয় প্রেসক্লাবে ‘বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতে অমানিশা: দুর্নীতি আর লুটপাটের খেসারত’ শীর্ষক এক আলোচনা সভায় এসব কথা বলেন তিনি। আলোচনা সভার আয়োজন করে অ্যাসোসিয়েশন অব ইঞ্জিনিয়ার্স বাংলাদেশ (এ্যাব)।
ফখরুল বলেন, বিদ্যুৎ উৎপাদনের সব ব্যবস্থা সরকার করেছে। কিন্তু জ্বালানি কোথায় থেকে আসবে সে ব্যবস্থা সরকার করেনি। জ্বালানির ব্যাপারে সরকার কোনো পরিকল্পনা করেনি। পরিকল্পনা না করার কারণে দেশের আজ বিদ্যুৎ সংকট দেখা দিয়েছে।
তিনি আরও বলেন, এখনো যে দেশের মানুষ দুই বেলা খেতে পায় না, যে দেশের মানুষ এখনো ৪২ শতাংশ দারিদ্র্য সীমানা নিচে বসবাস করে। সেই দেশকে সিঙ্গাপুর বানাচ্ছেন।
আপনাদের নিরাপত্তার জন্য আবার কানাডায় বেগম পাড়া করছেন। যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্যে সেকেন্ড হোম করছেন। এইটাই হচ্ছে আওয়ামী লীগের আসল চেহারা।
লোডশেডিং প্রসঙ্গে বিএনপির এই মহাসচিব বলেন, লোডশেডিং গ্রামে বেশি হয়। সেখানে ছয় থেকৈ সাত ঘণ্টা করে লোডশেডিং হয়। শহরের মানুষদের খুশি রাখার জন্য শহরে লোডশেডিং কম হচ্ছে। কারণ শহরের মানুষ একটু বেশি হৈচৈ করে, আন্দোলন করে। এ জন্য শহরে কম লোডশেডিং হচ্ছে।
শহরের মানুষদের খুশি রেখে গ্রামে যারা কৃষিকাজ করে, ফসল ফলান তাদের লোডশেডিং বেশি দিচ্ছে। ফলে কী হবে? ফসল উৎপাদন কমে যাবে। ধান উৎপাদন কমে যাবে। খাদ্য নিরাপত্তা হুমকির মুখে চলে যাবে। এভাবেই পতন অনিবার্য হবে।
‘মেগা প্রকল্পের মূল লক্ষ্য মেগা দুর্নীতি’ উল্লেখ করে তিনি বলেন, মেগা প্রজেক্টে মেগা লুটের কারণে বাংলাদেশের অর্থনীতিতে আজকে এ অবস্থা সৃষ্টি হয়েছে।
তাদের সঙ্গে কথা বললে মনে হবে তারা একটা স্বর্গরাজ্য তৈরি করেছে ও উন্নয়নের রোল মডেল। এখন রেমিট্যান্স কমে আসছে। চোখে সর্ষের ফুল দেখবেন। দেখা শুরু করেছেন। যার জন্য এখন আবালতাবোল বলা শুরু করেছে।
তথ্য সূত্রঃ ভোরের কাগজ।
মন্তব্য করুন