গাজীপুরের বঙ্গবন্ধু সাফারি পার্ক থেকে ধরে আনা সেই ৫৬টি বানরের ওপরই বঙ্গভ্যাক্সের টিকার ট্রায়াল শুরু হয়েছে। ১ আগস্ট থেকে শুরু হওয়া এই ট্রায়াল চলবে সেপ্টেম্বরের শেষ নাগাদ। সোমবার সমকালকে এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন গ্লোব বায়োটেকের কোয়ালিটি অ্যান্ড রেগুলেটরি অপারেশনসের ব্যবস্থাপক মোহাম্মদ মহিউদ্দিন।
তিনি বলেন, সেপ্টেম্বরের শেষ নাগাদ এই ট্রায়ালের প্রতিবেদন বাংলাদেশ মেডিক্যাল রিসার্চ কাউন্সিলে জমা দেয়া হবে। সেখান থেকে অনুমোদন পাওয়া গেলে মানবদেহে ট্রায়াল শুরু হবে।
এর আগে ২২ জুন গ্লোব বায়োটেককে চিঠি দিয়ে ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালের আগে বানর অথবা শিম্পাঞ্জির ওপর টিকার ট্রায়াল করতে বলে বিএমআরসি। বানরগুলো ধরতে গিয়ে স্থানীয় ব্যক্তিদের তোপের মুখে পড়েছিলেন গ্লোব বায়োটেকের কর্মকর্তারা। সেই সঙ্গে বন্য প্রাণী গবেষণার কাজে ব্যবহারের সমালোচনাও হয়েছে।
মোহাম্মদ মহিউদ্দিন সমকালকে বলেন, ‘পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন নিয়ে আমরা ৩০ জুন বঙ্গবন্ধু সাফারি পার্ক থেকে ৫৬টি বানর সংগ্রহ করেছি। সেগুলো আমাদের অ্যানিমেল সেন্টারে রেখে এক মাস অভিযোজন করিয়েছি। তারপর ১ আগস্ট থেকে বানরগুলোর ওপর ট্রায়ালের কাজ শুরু করেছি। যারা আমাদের সমালোচনা করেছিল, তাদের অনেকের এ–সংক্রান্ত কাজের অভিজ্ঞতা ছিল না। আর তাদের মধ্যে এখন অনেকেই বঙ্গভ্যাক্স উৎপাদনে কাজ করছে।’ /সমকাল/
মন্তব্য করুন