এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষার ফল তৈরির কাজ শেষ পর্যায়ে। আগামী ১০ ফেব্রুয়ারি থেকে ১৫ ফেব্রুয়ারির মধ্যে এ পরীক্ষার ফল প্রকাশ করা হতে পারে। ইতোমধ্যে এ বিষয়ে প্রস্তাব শিক্ষা মন্ত্রণলয়ে পাঠিয়েছে আন্তঃশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় কমিটি। তবে প্রধানমন্ত্রী যেদিন সময় দেবেন সেদিন আনুষ্ঠানিকভাবে ফল প্রকাশ করা হবে বলে জানিয়েছেন কর্মকর্তারা।
আন্তঃশিক্ষা বোর্ড থেকে জানা গেছে, ২০২১ সালের ডিসেম্বরে অনুষ্ঠিত এইচএসসি-সমমান পরীক্ষার ফল তৈরির কাজ শেষ পর্যায়ে। দু-তিনদিনের মধ্যে সব কাজ শেষ হবে। এখন শুধু ফল প্রকাশে আনুষ্ঠানিকতার বাকি।
বোর্ড সূত্র আরও জানিয়েছে, দেশের বড় এ পাবলিক পরীক্ষার ফল প্রকাশের জন্য শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী যেদিন সময় দেবেন সেদিন তা প্রকাশ করা হবে। তবে ১০ ফেব্রুয়ারির পর ১৫ ফেব্রুয়ারির মধ্যে এ ফল প্রকাশ করা হতে পারে বলে জানিয়েছেন কর্মকর্তারা।
জানতে চাইলে ঢাকা মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের সদ্যসাবেক চেয়ারম্যান অধ্যাপক নেহাল আহমেদ দৈনিক শিক্ষাডটকমকে বলেন, ১০ ফেব্রুয়ারির পর যেকোনো দিন এইচএসসির ফল প্রকাশ করতে আমরা প্রস্তুত। সেভাবেই শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে প্রস্তাবনা পাঠানো হয়েছে। মন্ত্রণালয় ফল প্রকাশের বিষয়ে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর অনুমতি চাবে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী যেদিন অনুমতি দেবেন সেদিনই ফল প্রকাশ করা হবে।
তিনি আরও বলেন, করোনা পরিস্থিতির কারণে অনেক দেশের ফ্লাইট বন্ধ থাকায় বিদেশের কেন্দ্রগুলোর খাতা আসতে জটিলতা ছিল। সে জটিলতা কেটেছে। কেন্দ্রীয়ভাবে সফটওয়্যারের মাধ্যমে সার্বিক ফল তৈরির কাজ চলছে। আমরা ১০ ফেব্রুয়ারির পর যেকোনো দিন ফল প্রকাশ করতে পারবো।
জানতে চাইলে ফল প্রকাশের প্রস্তাব পাঠানোর বিষয়টি নিশ্চিত করে ঢাকা বোর্ডের সচিব অধ্যাপক তপন কুমার সরকার দৈনিক শিক্ষাডটকমকে বলেন, যেসব জটিলতা ছিল তা কেটেছে। আমরা ১০ ফেব্রুয়ারির পর ১৫ ফেব্রুয়ারির মধ্যে যেকোনো দিন এইচএসসি ও সমমানের ফল প্রকাশ হবে। এর বেশি কোনো মন্তব্য করতে পারছি না।
২০২১ খ্রিষ্টাব্দে এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় ৯টি সাধারণ শিক্ষা বোর্ড এবং মাদরাসা ও কারিগরি শিক্ষা বোর্ড মিলিয়ে মোট পরীক্ষার্থীর সংখ্যা প্রায় ১৪ লাখ। গত ৩০ ডিসেম্বর পর্যন্ত এইচএসসির লিখিত পরীক্ষা চলে। এরপর পরীক্ষার্থীদের ব্যবহারিক পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। এখন পরীক্ষার্থীদের ফল প্রক্রিয়া করছে শিক্ষা বোর্ডগুলো।
সূত্রঃ দৈনিক শিক্ষা
মন্তব্য করুন