অবৈধ ভয়েস ওভার ইন্টারনেট প্রটোকল (ভিওআইপি) সেবায় ব্যবহৃত সিম জব্দ করার পর চারটি মুঠোফোন অপারেটরকে ৭ কোটি ৬৫ লাখ টাকা জরিমানা করেছে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি)।
সবচেয়ে বেশি জরিমানার মুখে পড়েছে সরকারি মুঠোফোন অপারেটর টেলিটক। পরিমাণ পাঁচ কোটি টাকা। আর রবিকে দিতে হবে দুই কোটি টাকা। গ্রামীণফোনকে ৫০ লাখ ও বাংলালিংককে ১৫ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
জরিমানার টাকা পরিশোধের জন্য চার অপারেটরকে ৭ জুন চিঠি দেওয়া হয়। এতে বলা হয়, পুরো টাকা ৩০ জুনের মধ্যে পরিশোধ করতে হবে।
বিটিআরসির ভাইস চেয়ারম্যান সুব্রত রায় মৈত্র প্রথম আলোকে বলেন, কমিশন নিজের ক্ষমতাবলে চূড়ান্তভাবে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে। তিনি আরও বলেন, অবৈধ ভিওআইপিতে অপারেটরদের সিমগুলো ব্যবহৃত হয়েছে। কীভাবে এসব সিম বাজারে এল, ব্যবহৃত হলো, তার জবাব অপারেটররা ঠিকমতো দিতে পারেনি।
বিটিআরসির নথিপত্র বলছে, ২০১৮ সালের মার্চ থেকে ২০১৯ সালের আগস্ট পর্যন্ত বিটিআরসি অভিযান চালিয়ে বিপুল পরিমাণ ভিওআইপি সরঞ্জামসহ ৪ অপারেটরের ৫২ হাজারের বেশি সিম জব্দ করে। সবচেয়ে বেশি সিম জব্দ হয়েছিল টেলিটকের, ৩২ হাজার ৮৪৫টি। এরপর প্রক্রিয়া শেষে টেলিটককে প্রায় ১৭ কোটি ৭৪ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছিল। এ জরিমানা মওকুফের আবেদন করে টেলিটক। শুনানি শেষে চূড়ান্তভাবে জরিমানা কমিয়ে পাঁচ কোটি টাকা ধার্য করা হয়।
রবির ১৬ হাজার ৩৯০টি, গ্রামীণফোনের ২ হাজার ৩৫৬ ও বাংলালিংকের ৭৫৩টি সিম জব্দ করা হয়েছিল। তাদেরও একই প্রক্রিয়া অনুসরণ করে জরিমানা করা হয়েছে।
শুরুতে রবিকে ৭ কোটি ৫৫ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছিল। পরে তা কমানো হয়। একইভাবে গ্রামীণফোনকে প্রায় ৯৯ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছিল, সেটাও কমানো হয়। বাংলালিংককে প্রথমে জরিমানা করা হয়েছিল ৩৩ লাখ টাকার কিছু বেশি।
এই বিষয়ে অপারেটরগুলোর কাছে প্রথম আলোর পক্ষ থেকে বক্তব্য চাওয়া হয়। টেলিটকের একজন কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, তিনি জরিমানার কথা শুনেছেন। আবার জরিমানা মওকুফের আবেদন করা হতে পারে।
রবি কর্তৃপক্ষ প্রথম আলোকে বলেছে, তারা জরিমানার বিষয়ে এখনো চিঠি হাতে পায়নি।
সূত্র: প্রথম আলো।
মন্তব্য করুন