বাংলাদেশ সহ পৃথিবী জুড়ে পুরুষদের যে সমস্ত ক্যান্সার বেশি হায় তার মধ্যে অন্যতম হলো কোলোরেক্টাল ক্যান্সার স্থান তৃতীয়। তবে পৃথীবীতে কোলন ক্যান্সারের স্থান রয়ছে অষ্টম আর রেক্টাম ক্যান্সারের স্থান নবম।
কোলারেক্টল ক্যান্সার হলো বৃহদন্ত্রের ক্যান্সার ।বৃহদন্ত্রে আক্রান্ত কোষকেই বাওয়েল ক্যান্সার ,কোলন ক্যান্সার অথবা রেক্টাম ক্যানসার বলে। তবে বৃহদান্ত্রের ক্যানসার মূলত কোলন বা রেক্টাম বা পায়ুপথকে আক্রান্ত করে। গেল মার্চ মাস ছিলো কোলারেক্টাল ক্যানসার বা সিআরসি সচেতনতার মাস। এই মাসা ছাড়াও সারা বছরই পুরুষ কিংবা মহিলাদের শতর্ক থাকা উচিত । কিন্তু সবচেয় পরিতাপের বিষয় হলো কোলারেক্টাল ক্যান্সার এর প্রাথমিক উপসর্গ বেশিরভাগ ক্ষেত্রে বোঝা যায় না।
কিভাবে বুঝবেন
এই রোগের উপসর্গগুলো চিহ্নিত করা কঠিন বিষয় । তবে শারীরিক অবস্থার প্রাথমিক ধারনা থেকে এই রোগ থেকে মুক্তি মিলে যদি দ্রুত ডাক্তারের সাথে যোগা যোগ করা যায়া। তবে কোষ্ঠকাঠীন্য , ডায়রিয়া , মলের সাথে রক্ত , রেক্টাম বা পায়ুপথে রক্ত বের হওয়া, পেটে প্রচুর পরিমানে গ্যাস হওয়া এবং পেট ব্যাথা কোলোরেক্টাল ক্যান্সারের ইঙ্গিত বহন করে।
যারা ঝুকিতে আছেন
সাধারনত ৬০ বছরের বেশি বয়স্কদের এই রোগ দেখা দেয় । তবে কয়েক বছর যাবৎ তরুন বয়েসের লোকদের এই রোগ দেখা যাচ্ছে । তবে রেক্টাম বা পায়ুপথের ক্যান্সারের অন্যতাম কারন হরো অস্বাস্থ্যকর জীবনযাপন, খ্যাদ্যাভাস , মেদ বা চর্বি বৃদ্ধি ,কায়িক পরিশ্রম বা শারীরিক চর্চার অভাব।
কখন ডাক্তারের কাছে যাবেন।
কোলোরেক্টাল ক্যান্সার বা রেক্টাম বা পায়ুপথের ক্যান্সার রোধ করার জন্য ৪৫ বছর হওয়ার পর থেকে নিয়োমিত ডাক্তারের কাছে যাওযা এবং উক্ত রোগ বিষয় অগ্রিম টেস্ট করা। এই ক্যান্সারের প্রাথমিক লক্ষন হলো অস্বাভাবিক ভাবে কোষ বৃদ্ধি। এই কোষের পরিক্ষা করলে প্রাথমিক ভাবে তার ফলাফর পাওয়া যায় । যা ক্যান্সার রোধে কাজ করে।
চিকৎসা
ব্যাক্তি ভেদে রোগের ধরনে উপর চিকিৎসা পদ্ধতি নির্ভর করে। তাই বলা চলে এই রোগের চিকিৎসা ব্যাক্তিকেন্দ্রিক। রোগীর ধরন অনুযায়ী সার্জারি , রেডিওথেরাপি এবং কেমোথেরাপির প্রয়োগ করে চিকিৎসা করা হয়। ফলে রোগী দ্রুত আরোগ্য লাভ করে। স্ক্রিনিংয়ের দু’টি উপায় হল— ফিক্যাল অকাল্ট ব্লাড টেস্ট (এফওবিটি) এবং কোলোনোস্কোপি। একেবারে প্রথম দিকে রোগ চিহ্নিত হলে, চিকিৎসক কোলোনোস্কোপির সময় টিউমারটি সম্পূর্ণভাবে বাদও দিতে পারেন। কোলোরেক্টাল ক্যান্সারের পরের দিকে, পার্শিয়াল কোলেক্টমি এবং কোলোস্টমি হল অপারেশনের উত্তম উপায়। মনে রাখা উচিত চিকিৎসা মূলত পরিস্থিতির ওপর নির্ভর করে, যেমন, ক্যান্সারটি কোথায় হয়েছে, কোন স্তরে রয়েছে এবং অন্যান্য সমস্যা যেমন রোগীর কোমর্বিডিটি রয়েছে কি না ইত্যাদি। একবার অপারেশন হয়ে গেলে, প্রয়োজন অনুযায়ী কেমোথেরাপি, রেডিয়েশন, টার্গেটেড ড্রাগ থেরাপি এবং ইমিউনোথেরাপি দেওয়া হয়।
আগেই বলা হয়েছে কোলোরেক্টাল ক্যান্সার সাধারণত প্রৌঢ়দের মধ্যে দেখা দেয়। তাই প্যালিয়েটিভ কেয়ারকেও মূল চিকিৎসা পরিষেবার সঙ্গে যুক্ত করা হয়। মূল চিকিৎসার সঙ্গে প্যালিয়েটিভ কেয়ার যুক্ত করা হলে রোগীরা বাড়তি আরাম অনুভব করেন। আরও একটু ভালো করে বেঁচে থাকতে পারেন। প্যালিয়েটিভ কেয়ার ব্যথা এবং এই কঠিন ব্যাধির অন্য উপসর্গ থেকে মুক্তি দেওয়ার ওপর জোর দেয়। ফলে রোগীর জীবনের মানে উন্নতি ঘটে।
ঝুঁকি কমান
অস্বাস্থ্যকর জীবনযাপনের অভ্যেস কোলোরেক্টাল ক্যান্সারের ঝুঁকি বাড়ায়। তাই সঠিক দৈহিক ওজন বজায় রাখুন। খাদ্যে সব্জি, ফল, এবং গোটা শস্য যোগ করুন। মদ্যপান ও ধূমপান সম্পূর্ণ এড়িয়ে চলুন। নিয়মিত এক্সারসাইজ করুন। ভালো থাকুন। সুস্থ থাকুন।
ইবাংলানিউজ।
বর্তমান পত্রিকা অবলম্বনে কি কি কারনে ক্যান্সার হতে পারে।
- কি কারনে ক্যান্সার
- কি কারনে ক্যান্সার
- কি কারনে ক্যান্সার
- কি কারনে ক্যান্সার
মন্তব্য করুন