করোনা সংক্রমণের দ্বিতীয় ঢেউয়ে ডুবে রয়েছে ভারত । আর তার ধা্ক্কায় গুরুতর ভাবে ক্ষতিগ্রস্ত বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থ্য ডাব্লিউএইচও(হু) এর কোভ্যাক্স প্রকল্প। রাষ্ট্রপুঞ্জের আশঙ্ক, জুন মাসের মধ্যে অন্তত ১৯ কোটি ডোজ কম পড়বে । হু , ইউনিসফ-সহ আর দুটি সংগঠন যৌথ বিবৃতিতে জানিয়েছে এ কথা ।
কোভিড বিশেষজ্ঞেরা গোড়া থেকেই সতর্ক করে আসছেন, গোট বিশ্বে একসাথে দ্রুত টিকাকরণ একমাত্র নির্মূল করতে পারে এই ভাইরাসকে । তা না হলে , যে অঞ্চল পিছিয়ে থাকবে , সেখানে ভাইরাসের মিউটেশন ঘটাবে । আর এদিকে শক্তি বাড়িয়ে ভাইরাস মানুষকে সংক্রমিত করবে।
টিকা নিয়ে রাজনীতি যিতে না হয় , ধনী গরিব সহ সব দেশেই যাতে টিকা পৌঁছে এবং প্রতিষেধকের সমবন্টন হয় , সেই কথায় মাথায় রেখে কোভ্যাক্স প্রকল্প তৈরি করেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা।
কিন্তু এ পর্যন্ত সেইভাবে গতি পায়নি এই উদ্যেগে । তার উপরে ভারতের পরিস্থিতেতে জটিলতা বেড়েছে। কারন কোভ্যাক্সের অন্যতম টিকা সরবারহকারী ভারতের সিরাম ইনস্টিউট । যদিও বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা জানিয়েছে ফেব্রুয়ারি থেকে এ পর্যন্ত ১২৬টি দেশে ৭ কোটি ডোজ ইতিমধ্যেই পাঠানো হয়েছে । তার মধ্যে রয়েছে প্রত্যন্ত দীপপুঞ্জ, অর্থনৈতিক ভাবে বিপর্যস্ত দেশ কিংবা যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশ ।
অন্তত ৩৫ দেশে শুধুমাত্র কোভ্যাক্সের কল্যাণে কোভিড টিকার ডোজ পেয়েছে।
এক বিবৃতিতে জানানো হয় , “ যে সব দেশে টিকা অনেকটাই এগিয়ে গিয়েছে , সেখানে সংক্রমন কমতে দেখা গিয়েছে। হাসপাতালে ভর্তির সংখ্যাও কমছে ।পুরো স্বাভাবিক জীবন ফরছে কোথাও কোথাও । কিন্তু যদি গোট বিশ্বে ছবিটা ভাবা হয় ,তাহলে কিন্তু ভয় পাওয়ার মতো কারন আরো বাড়ছে ”
আগে থেকেই স্থির করা হয়েছিলো , অন্তত ২০০ কোটি ডোজ কোভ্যাক্সের মাধ্যামে পৌঁছে দেওয়া হবে বিভিন্ন দেশে।
বিবৃতিতে বলা হয়, দক্ষিণ এশিয়ার কোভিড-১৯ এর ভয়াবহ প্রভাব গোটা বিশ্বে ক্ষতির ভয়াবহতা সামনে নিয়ে এসেছে।
বিশেষ করে ভারতে কোভিড-১৯ করোনা ভাইরাসের মারত্মক সংক্রমন বৃদ্ধির কারনে ভয়াবহ প্রভাব পড়েছে কোভ্যাক্সের উপর।
জুন মাসের শেষে দিকে অন্তত ১৯ কোটি ডোজ কম পড়বে। পরে বেশ কিছু টিকা প্রস্তুকারী সংস্থার থেকে প্রতিষেধক আসবে কোভ্যাক্সের ঘরে ।
সেই মতো চুক্তি করা হয়েছে। বর্তমানে টিকার সংকট আছে , সেটাকে উপেক্ষা করেলে সংকট আরো বেশি দেখা দিতেপারে বলে মনে করেন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ইতিমধ্যে জানিয়েছে আমেরিকা ও ইউরোপ একসঙ্গে ১৮ কোটি ডোজ সাহায্য হিসেবে দিবে বলে জানিয়েছে। অন্য দেশ গুলোর এগিয়ে আসার আহব্বান জানিয়েছে হু।
এর আগে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা আগেই জনসন এন্ড জনসনকে সবুজ সংকেত দেখিয়েছ। এর মধ্যে জনসন এনড জনসনের আমেরিকার ছাড়পত্র পেয়েগেছে মাস খানেক আগেক। তার সাথে ব্রিটেনও জনসন এন্ড জনসন কে কোভিড১৯ এর টিকা হিসেবে অনুমতি দিয়েছে।
ব্রিটেনের টিকার সংস্থ্যা এমএইআরএ জানিয়েছে, একটি ডোজ এই টিকার গুনমান, নিরাপত্তা ও কার্যকারিতা , তিনটি ক্ষেত্রেই পাশ করেছে।
ওদিকে আমেরিকার প্রথম সারির জার্নাল, আমেরিকান মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশনে প্রকাশিত এক প্রতিবেনে জানা যায়, চিনা টিকা সিনোফার্মারের তৈরি দুটি ডোজ টিকাই ভালো করে রুখে দিতে পাবরবে সংক্রমন।
মন্তব্য করুন