সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদের নাটকীয় উৎখাতের এক সপ্তাহ পরই শিক্ষার্থীরা শ্রেণিকক্ষে ফিরে গেছে। সিরিয়ার নতুন শাসকরা স্কুল খোলার নির্দেশ দেওয়ার পর রবিবার থেকে তা কার্যকর হয়।
১৩ বছরের গৃহযুদ্ধের পর সিরিয়া পুনর্গঠনের জন্য দেশটির নতুন ডি ফ্যাক্টো নেতা আহমাদ আল-শারা একটি বিশাল চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হচ্ছেন।
বোমার আঘাতে শহরগুলো ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে। আন্তর্জাতিক নিষেধাজ্ঞায় বিপর্যস্ত হয়েছে অর্থনীতি। এখনো লাখ লাখ শরণার্থী সিরিয়ার বাইরে বিভিন্ন শিবিরে বসবাস করছে।
কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, আরব দেশগুলোর সাপ্তাহিক প্রথম কর্মদিবস, রবিবারে দেশজুড়ে বেশিরভাগ স্কুল খুলেছে। তবে পরিস্থিতির অনিশ্চয়তার কারণে কিছু অভিভাবক তাদের সন্তানদের ক্লাসে পাঠাচ্ছেন না।
রবিবার সকালে দামেস্কের একটি বালক উচ্চ বিদ্যালয়ের আঙ্গিনায় শিক্ষার্থীরা আনন্দের সাথে অপেক্ষা করতে থাকে। স্কুল সেক্রেটারি রায়েদ নাসের নতুন সরকারের পতাকা ঝুলিয়ে দেওয়ার সাথে সাথে তারা করতালি দিয়ে অভিনন্দন জানায়।
স্কুলের কোন প্রকার ক্ষয়ক্ষতি হয়নি জানিয়ে নাসের বলেন বলেন, “সবকিছুই ভালো। শিক্ষার্থীদের নিরাপদে স্কুলে ফেরার জন্য প্রয়োজনীয় সেবাগুলো নিশ্চিত করতে আমরা দুই-তিন দিন ধরে কাজ করেছি।”
শিক্ষার্থী সালাহ আল-দিন দিয়াব শ্রেনীকক্ষে পতাকা টাঙ্গিয়ে দেয়। সে বলে, “আমি ভীষণ খুশি এবং আশাবাদী। আগে ভয় পেতাম যে, আমাকে সামরিক বাহিনীতেই যোগ দিতে হবে। চেকপোস্টের কাছে গেলে আশংকা থাকত মনে।”
ইরান ও রাশিয়া সমর্থিত আসাদ সরকারের পতনের এক সপ্তাহ পর সিরিয়া যখন পুনর্গঠনের চেষ্টা শুরু করেছে, তখন তার প্রতিবেশী ও অন্যান্য বিদেশী শক্তিগুলো দেশটি নিয়ে তাদের নতুন অবস্থান কি হবে তা নিয়ে কাজ করছে।
জাতিসংঘের সিরিয়া বিষয়ক দূত গেইর পেডারসেন রবিবার বলেছেন, অর্থনীতি পুনরুদ্ধারে সহায়তার জন্য তিনি দেশটির উপর আরোপিত নিষেধাজ্ঞার দ্রুত অবসানের আশা করছেন।
মন্তব্য করুন