একের পর এক হামলা, শুটআউট, খুন – বারাকপুর এলাকায় বেশিরভাগ অপরাধমূলক কাজকর্মের পিছনে নাম উঠে আসে বিহারের জেলে বন্দি সুবোধ সিংয়ের। শনিবার ভরদুপুরে বেলঘরিয়ার (Belgharia) রথতলার কাছে গাড়িতে গুলিচালনার ঘটনাতেও এবার তার যোগ রয়েছে বলেই প্রাথমিকভাবে মনে করছে পুলিশ। আক্রান্ত ব্যবসায়ী অজয় মণ্ডলের অভিযোগ, থানায় তিনি বসে থাকাকালীনই ফোনে তাঁকে হিন্দিতে হুমকি দেওয়া হয়েছে, ”এবার বেঁচে গেলি, কিন্তু তুই বাঁচবি না।” অজয়বাবুর দাবি, ফোনের সঙ্গে সুবোধের যোগ রয়েছে। যদিও ঘটনার প্রায় ২৪ ঘণ্টা কাটলেও সন্দেহভাজন কাউকে গ্রেপ্তার করা হয়নি। আটক হয়েছে ২ জন।
ঘটনা শনিবার দুপুরের। ২টো নাগাদ বেলঘরিয়া থানার অদূরে রথতলা মোড়ের কাছে গাড়ি চড়ে যাচ্ছিলেন ব্যবসায়ী অজয় মণ্ডল। আগরপাড়ায় তাঁর গাড়ির শো-রুম আছে। অভিযোগ, সেই সময় বাইকে চড়ে তিন যুবক গাড়ির কাছাকাছি এসে বিলাসবহুল গাড়ি লক্ষ্য করে পর পর আট রাউন্ড গুলি চালায়। ব্যবসায়ী গাড়ি দাঁড় করিয়ে দেন। শুটআউটের (Shootout) পর এলাকা থেকে চম্পট দেয় বন্দুকবাজরা। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় বিশাল পুলিশবাহিনী। গাড়িটিতে একাধিক গুলির চিহ্ন পাওয়া গিয়েছে।
এই ঘটনার তদন্তে নামে বারাকপুর (Barrackpore) পুলিশ কমিশনারেট। বেলঘরিয়া থানায় প্রাথমিকভাবে অভিযোগ দায়ের করেন ব্যবসায়ী অজয় মণ্ডল। তাঁর দাবি, থানায় পুলিশের সামনে বসে থাকার সময়েই তাঁর কাছে ফোন আসে। হিন্দিতে রীতিমতো হুমকি (Threat) দেওয়া হয়, ”এবার বেঁচে গেলি কিন্তু তুই বাঁচবি না।” প্রাথমিকভাবে তাঁর দাবি, বিহারের জেলে বসেই সুবোধ সিং নামে কুখ্যাত দুষ্কৃতী হামলার পরিকল্পনা করেছে, তার পর শার্প শুটারদের কাজে লাগিয়েছে।
বারাকপুর, টিটাগড় এলাকায় কাউন্সিলর খুন থেকে শুটআউট, তোলাবাজি নিয়ে ঝামেলা – এই সব কিছুতেই নাম জড়িয়েছে সুবোধের। আদতে বিহারের বাসিন্দার বাংলা যোগ বেশ ভালো। তার জেরে একের পর এক অপরাধে জড়িয়েছে সে। আপাতত বিহারের (Bihar) জেলে বন্দি। কিন্তু সেখান থেকেই নিজস্ব ‘নেটওয়ার্ক’ দিয়ে নানা অপারেশন চালায়। অজয় মণ্ডলের উপর হামলাতেও তাকেই প্রাথমিকভাবে মাস্টারমাইন্ড মনে করছে পুলিশ।
মন্তব্য করুন